Header Ads 720=90

তারেক রহমানের অঙ্গীকার: “প্রত্যাশিত নির্বাচনে জনগণের পাশেই থাকবো”

 


দীর্ঘদিন গণমাধ্যম থেকে দূরে থাকার পর অবশেষে মুখ খুললেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রায় দুই দশক পর তিনি সাক্ষাৎকার দিলেন বিবিসি বাংলাকে। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্বে তিনি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নিজের ভূমিকা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন। সেখানে তিনি ইঙ্গিত দেন শিগগিরই দেশে ফিরবেন এবং আসন্ন প্রত্যাশিত নির্বাচনে জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

গণমাধ্যম থেকে দূরে থাকার কারণ

সাক্ষাৎকারে কেন এতদিন তিনি গণমাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন না—এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, “আসলে বিষয়টি এমন নয় যে আমি কথা বলিনি। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে অনেক সময় আমার বক্তব্য প্রকাশ হতে পারেনি। আদালতের আদেশে আমার কথা বলার অধিকারও সীমিত করা হয়েছিল। তখন গণমাধ্যম ইচ্ছা থাকলেও অনেক কিছু ছাপাতে পারেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আমি জনগণের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম।”

দেশে ফেরার প্রসঙ্গ

বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে দেশে ফেরার বিষয়ে নানা আলোচনা চলছিল। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কিছু কারণে এখনও দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি। তবে সময় চলে এসেছে। ইনশাআল্লাহ খুব শিগগিরই দেশে ফিরবো।” নির্বাচনের আগেই দেশে আসবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি রাজনীতিবিদ, তাই স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের সময় জনগণের কাছেই থাকতে চাই। আমার চেষ্টা থাকবে জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচনে তাদের পাশেই দাঁড়ানো।”

আন্দোলনে ভূমিকা ও ছাত্র নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ

জুলাই আন্দোলনে তাকে অনেকেই “মাস্টারমাইন্ড” বলে অভিহিত করেন। তবে এ বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, “এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়, এটি জনগণের আন্দোলন। কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থী, গৃহিণী থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা পর্যন্ত সবাই এতে অংশ নিয়েছেন। তাই আমি কখনোই নিজেকে আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড মনে করি না। প্রকৃত মাস্টারমাইন্ড হলো গণতন্ত্রকামী জনগণ।”
তিনি আরও জানান, দেশের বাইরে থাকায় অনলাইন ও বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্র নেতৃত্বসহ সবার সঙ্গে সংযোগ রাখার চেষ্টা করেছেন, যদিও তা সবসময় সহজ ছিল না।

প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রশ্নে তারেক রহমান

আগামী নির্বাচনে তাকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে দেখা যাবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জনগণের অংশগ্রহণে যে নির্বাচন হবে, সেখান থেকে দূরে থাকার কোনো সুযোগ নেই। তবে প্রধানমন্ত্রী পদে কে থাকবেন, সেই সিদ্ধান্ত জনগণের। এটি আমার সিদ্ধান্ত নয়, বাংলাদেশের মানুষের সিদ্ধান্ত।”

অতীতের দায় নিয়ে মন্তব্য

তিনি আরও বলেন, “যারা গুম-খুনের রাজনীতি করেছে তাদের জবাবদিহি করতে হবে। একইভাবে ১৯৭১ সালে যদি কোনো দলের বিতর্কিত ভূমিকা থাকে, তার জবাবও তাদেরই দিতে হবে। আমি আমার দায় স্বীকার করবো, কিন্তু অন্যের দায় আমি নিতে পারবো না।”

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.