Header Ads 720=90

যে আয়াতের নূর ছুঁতেই শয়তান পালিয়ে যায় – ঘর ভরে ওঠে শান্তিতে!

 

✨ অদৃশ্য অশান্তিকে পরাজিত করার কোরআনিক শক্তি

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক অদৃশ্য যুদ্ধ চলে, যা চোখে দেখা যায় না—
কিন্তু অনুভব করা যায়।

রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়া,
ঘর অকারণ ভারী মনে হওয়া,
মনের ভেতর অজানা ভয় বাসা বাঁধা,
হঠাৎ করে কাজের ব্যাঘাত,
অথবা অস্থির এক পরিবেশ—

এসব কিছুই মাঝে মাঝে অদৃশ্য শয়তানি প্রভাবের ইঙ্গিত হতে পারে।

কিন্তু আল্লাহর রহমত এমনই মহান—
তিনি আমাদের এমন কিছু আয়াত শিখিয়েছেন,
যা শয়তানকে জ্বালিয়ে দেয়, দুর্বল করে দেয়, এবং তাকে পালাতে বাধ্য করে।

এমনই এক শক্তিশালী আয়াত আছে—
যে আয়াত শোনার সাথে সাথে শয়তান ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়।


সেই শক্তিশালী আয়াত কোনটি?

আয়াতুল কুরসি (সূরা বাকারা: ২৫৫)

রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন—
“যে ঘরে আয়াতুল কুরসি পড়া হয়, সে ঘর থেকে শয়তান পালিয়ে যায়।”

এই আয়াত কোরআনের অন্যতম সুরক্ষার দুর্গ।
এটি শয়তান, জিন, যাদু ও বদনজর থেকে শক্তিশালী ঢাল হিসেবে কাজ করে।

আয়াতুল কুরসি শুধু আল্লাহর কুদরতের বর্ণনা নয়—
এটি আল্লাহর হিফাজত, নূর এবং সিংহাসনের মহিমার ঘোষণা।

যেখানে আয়াতুল কুরসি আছে—
শয়তান সেখানে টিকে থাকতে পারে না।


কেন এই আয়াত শুনলে শয়তান পালায়?

আয়াতুল কুরসির ভেতর রয়েছে—

  • আল্লাহর একত্বের ঘোষণা

  • আল্লাহর ক্ষমতা ও প্রভাব

  • আসমান–জমিনের মালিকানা

  • আল্লাহর চিরসতর্ক পাহারা

  • তাঁর সীমাহীন জ্ঞানের বিবরণ

  • তাঁর সম্মানিত আরশের কথা

শয়তান এমন শক্তির সামনে দাঁড়াতে পারে না।
এটা যেন অন্ধকারের সামনে সূর্যের আলো।

শয়তানের প্রভাব যতই প্রবল হোক—
আয়াতুল কুরসি তাকে ভেদ করে দেয়।


যখন ঘরে অদ্ভুত অস্থিরতা লাগে…

অনেকেই বলেন—

  • “ঘরটা ভারি মনে হয়…”

  • “রাতে অদ্ভুত ভয় লাগে…”

  • “সব সময় দমদম ভাব…”

  • “মন অকারণে খারাপ…”

  • “শিশুরা বারবার কেঁদে ওঠে…”

  • “হঠাৎ হঠাৎ ঘরে শব্দ শোনা যায়…”

এগুলো অস্বাভাবিক হলেও বেশ পরিচিত সমস্যা।
এ অবস্থায় অনেকেই বুঝতে পারেন না কী করতে হবে।

প্রথম কাজ—
ঘরে বসে আয়াতুল কুরসি চালানো।
১০ মিনিটের মধ্যে ঘরের পরিবেশ হালকা হয়ে যায়।

মানুষ বলতেই বাধ্য হয়—
“মনে হচ্ছে কিছু একটা সরে গেছে!”


কখন শুনবেন?

  • ঘুমানোর আগে

  • ফজরের পর

  • মাগরিবের পরে

  • বাসায় প্রবেশের সময়

  • অস্থিরতা বা ভয় লাগলে

  • বাচ্চাদের রুমে

  • নতুন বাসায় ওঠার দিন

  • জাদু বা বদনজরের সন্দেহ হলে

দৈনিক ২–৩ বার শুনলে ঘরে পরিবেশ শান্ত হয়ে যায়।


রুকাইয়া সেশনে কেন এটি অপরিহার্য?

রুকাইয়া মানেই শয়তানি প্রভাব দূর করা।
আয়াতুল কুরসি না থাকলে রুকাইয়া অসম্পূর্ণ।

বেশিরভাগ রুকাইয়া শাইখ বলেন—
“জিন ও শয়তান প্রথমেই আয়াতুল কুরসিকে ভয় পায়।”

অনেকে রুকাইয়া শুনতে শুনতে—

  • কান্না পান

  • বুক হালকা লাগে

  • মাথা ব্যথা কমে

  • ঘুম চলে আসে

  • মন শান্ত হয়

  • ঘরের অন্ধকার পরিবেশ পরিষ্কার হয়

এগুলো সবই আয়াতুল কুরসির প্রভাবের অংশ।


একটি সত্য অনুভূতি

মাঝে মাঝে একটি আয়াতই মানুষের জীবন পাল্টে দেয়।
যে আয়াত শোনার সাথে সাথে শয়তান পালায়—
সেই আয়াত মানুষের জীবনে ফের শান্তির আলো জ্বালায়।

যার ঘরে আয়াতুল কুরসি নিয়মিত বাজে—
সেই ঘর ভরপুর থাকে বরকতে,
শান্তিতে,
রহমতে।


 

আপনি যদি মনে করেন—

  • কিছু যেন ঠিক নেই

  • ঘরে অদ্ভুত চাপ

  • দুঃস্বপ্ন

  • অস্থিরতা

  • বা অজানা ভয়

তাহলে আজই আয়াতুল কুরসি শুনুন।
বিশ্বাস রাখুন—
আল্লাহর নূর যেখানেই প্রবেশ করে, অন্ধকার সরে যেতে বাধ্য।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.